মোঃ কামাল মাহামুদ নাটোর, প্রতিনিধি।
নাটোরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বই পাওয়া না গেলেও সারা দেশের মত নাটোরেও বই বিতরণ শুরু হয়েছে। নাটোর জেলার প্রথমিক পর্যায়ে ৭,৯৩,৯৫০টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও পাওয়া গেছে ২,৫৬,৯০৫টি বই। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কোন বই এসে পৌঁছেনি। শনিবার রাতে জেলার সব স্কুলে এসব বই আসার কথা থাকলেও রোবাবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তা আসেনি। ফলে ১ম ও দ্বিতীয় শ্রেণী বাদ রেখে রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ শুরু করা হয়। সরকারী বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। এসময় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী সংশ্লিষ্ট প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বই না পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দুই শ্রেণীর প্রায় আড়াই লাখ বইয়ের চাহিদা দেয়া হয়। শনিবার রাতের মধ্যে বউগুলি পাওয়ার কথা থাকলেও রোববার বেলা ১১ টা পর্যন্ত তা নাটোরে আসেনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে আজ রোববার অথবা কাল সোমবারের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী ১ম ও ২ য় শ্রেণীর বই নাটোরে পৌছে যাবে। পুরাতন বই হাতে থাকলেও তা বিতরন করা হবেনা বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার। সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। জানুয়ারী মাস পুরোটায় বই বিতরন করা হবে। নতুন বই দিয়েই শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান। এদিকে বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে খুশী হন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে খুশী হন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কেউ কেউ স্কুলে এসে বই না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি ফিরে যান। নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাফিউর রহমানের মা মুছলেমা খাতুন বলেন, বছরের প্রথম দিনে তার ছেলে নতুন বই পাওয়ায় তিনি খুশী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এজন্য ধন্যবাদ জানান। তবে সবগুলো বই সরবরাহ করা হয়নি বলে তিনি জানান। বাগাতিপাড়া কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফ আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় এবারও নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে আনন্দ লাগছে। এবার কাগজের চড়া মুল্য হওয়া সত্বেও সময়মত নতুন বই স্কুলে এস পৌঁছানোর কারনে তারা বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরেছেন।
Leave a Reply